পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। দেশটিতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। এরই মধ্যে ত্রাণকর্মীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বিশুদ্ধ পানির অভাবে বন্যার্তদের পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে।
দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ারস, যারা খাবার এবং আশ্রয় খোঁজার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্যতা সবচেয়ে বড় সমস্যা।
সরকারের মন্ত্রী আহসান ইকবাল জানিয়েছেন, নজিরবিহীন এই সঙ্কট মোকাবেলার মতো সম্পদ দেশে নেই। এই বন্যা সাম্প্রতিক বিশ্ব ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ জলবায়ুজনিত বিপর্যয়।
আরোও পড়ুন: ভারতের ওপর নির্ভর করছে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি
পাইকগাছায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এ যেন ক্রিয়া প্রেমীদের সেতুবন্ধন
উদ্দেশ্যে নিয়ে কাজ করলে সফলতা আসবেই- প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য
রেকর্ড বৃষ্টিতে পাকিস্তানের প্রায় ১৪ লাখ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে তিন কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতার কারণে পাকিস্তানে রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও বেশি শিশু মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইউনিসেফের আবদুল্লাহ ফাদিল বলেন, ‘এখন পানিবাহিত মারাত্মক রোগ ডায়রিয়া, কলেরা, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া দ্রুত ছড়ানোর উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। তাই আরও অনেক শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।